রিয়াদ হাসান: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন মন্তব্য করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণ কখনো ভোট দিতে পারেনি, এবারো পারবে না। এ কারণেই আমরা বারবার নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছি।

মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানের একটি হোটেল বিএনপি মিডিয়া সেল প্রথম বর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় গণমাধ্যমের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ, সাইবার সিকিউরিটি মামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা এবং সরকারের বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে যারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো আজকে এক সঙ্গে হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছি। আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে বিএনপিকে ক্ষমতা নিতে চাই এ কথাটি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে মানুষের অধিকারকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে ৬শ মানুষকে গুম করেছে, সহস্ত্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। শুধুমাত্র ভিন্ন মত পোষণ করার কারণে কয়েক লক্ষাধিক মামলা করা হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আগামীতে যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সে জন্য আমরা দশ দফা দাবি জানিয়েছি। রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা ঘোষণা করেছি। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে একমত এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা এক ছাতার নীচে নিয়ে এসেছি। কারণ আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

বিএনপি এই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত হেনেছে। বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। বিশেষ করে বিরোধীদলের মুখপাত্র টিভি চ্যানেল, পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রকৃত সাংবাদিকরা আজকে কাজ করতে পারছেন না। তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতেই মিডিয়া সেল তৈরি করা হয়েছিল। এ মিডিয়া সেল কেবল প্রচার- প্রচারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না। মিডিয়া সেল প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসনের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ।

জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না